ফুল ভালোবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুজে পাওয়া মুশকি হয়ে পড়বে। ৮ থেকে ৮০ সব বয়সের মানুষের কাছেই ফুল সুন্দরের এক অনন্য প্রতীক। একে অপরকে ভালোবাসা বিনিময়ের মাঝে আমারা ফুল ব্যবহার করে থাকি। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের কথা বলা হয়ে থাকে। ঘরোয়া প্রতিকারের জন্য গুল্ম ও মসলা ব্যবহার করা হয়।কিন্তু ভালোবাসা বিনিময়ের অন্যতম হাতিয়া এ ফুল কিন্তু খাওয়ার কাজেও লাগে। তাহলে একনজরে দেখে নেয়া যাক কোন ফুলগুলো খাওয়া যায়।
গোলাপ ফুল
হ্যাঁ গোলাপ ফুলের নাম শুনে একটু অবাক হচ্ছেন! এটি সবজি বা ফলের ক্যাটাগরিতে পড়েনা কিন্তু এটি বিভিন্ন ধরণের রান্নায় বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। গোলাপ ফুল ওজন কমতেও সাহায্য করে। গোলাপের তাজা পাপড়ি বা শুকনো পাপড়ি খাওয়া হয়। পরিপাকে সাহায্য করে গোলাপ ফুল। এছাড়াও ব্যথা সাড়াতে, বমি বমি ভাব, অবসাদ ও র্যাশ ভালো করতে সাহায্য করে গোলাপ ফুল কারণ এতে এস্ট্রিঞ্জেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে।
নিম ফুল
নিমের ছোট ছোট পাতলা ফুলগুলো মেটাবলিজমের উন্নতি ঘটায় এবং ওজন কমাতে ফ্যাট ভাংতে সাহায্য করে। নিমফুল পিষে নিয়ে এর সাথে মধু ও চুনের পানি মিশিয়ে পান করুন। সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করলে পেটের মেদ কমতে সাহায্য করে।
জুঁই ফুল
জুঁই বা জেসমিন ফুল তীব্র সুগন্ধি ফুল যা ঐতিহ্যগতভাবে চায়ের সুগন্ধ সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়। আসল জুঁই ফুল ডিম্বাকৃতির, চকচকে পাতা এবং নলাকার মোমের মত সাদা ফুল।
ল্যাভেন্ডার : মিষ্টি সুবাসের জন্য এই ফুল কেকে তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
লাইলাক : আইসক্রিম, জ্যাম ও শরবতে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
ডে-লিলি : কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**