টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপল দাসের (২৯) কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। রবিবার রাতে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতাল, জামুর্কী সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মির্জাপুর থানা ও গোড়াই হাইওয়ে থানায় সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উৎপল দাস নামে কোনো সাংবাদিক হাসপাতালে ভর্তি হননি। এমনকি পুলিশও এ ধরনের কোন তথ্য নিশ্চিত করতে পারেননি।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, পূর্বপশ্চিমবিডি ডট নিউজের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক উৎপল দাস গত ১০ অক্টোবর রাজধানী মতিঝিলের অফিস থেকে নিখোঁজ হন। উৎপলের পিতার নাম চিত্ত দাস, বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার থানাহাটি গ্রামে। নিখোঁজের পর থেকে তার কোনো সন্ধান না পেয়ে গত ২২ অক্টোবর একটি সাধারণ ডায়রি করেন পূর্বপশ্চিম কর্তৃপক্ষ।
রবিবার রাতে কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে খবর প্রচার হয়- ‘নিখোঁজের ১০ দিন পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সাংবাদিক উৎপল দাস উদ্ধার’, হাসপাতালে ভর্তি। এই খবর প্রচার হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয় টাঙ্গাইল জেলা ও মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে। খবর প্রচারের পর থেকে কুমুদিনী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, জামুর্কি সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেকের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে এবং ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উৎপল দাস নামের কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। মির্জাপুর থানা ও গোড়াই হাইওয়ে থানায় খোঁজ নিয়েও উৎপল দাস নামে কোন ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. দুলাল চন্দ্র বলেন, ‘উৎপল দাস নামে কোন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেই। উপজেলার জামুর্কি সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মো. শাহারিয়ার সাজ্জাত বলেন, তাদের হাসপাতালেও উৎপল দাস নামে কোন রোগী ভর্তি নেই।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুল হক মিজান ও গোড়াই হাইওয়ে থানার (ওসি) মো. খলিলুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘উৎপল দাস নামের কোন সাংবাদিকের সন্ধান তারা এখন পর্যন্ত পাননি।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**