ধর্মনিরপেক্ষ স্বাধীন নেপালের বাসিন্দারা নতুন সংবিধানের মর্যাদা বজায় রেখে ঐতিহাসিক নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন৷ একসময় হিন্দু রাষ্ট্র থেকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণার পর এটাই প্রথম নির্বাচন৷ সেই অর্থে রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণের মুখে হিমালয় কন্যা৷
প্রবল গৃহযুদ্ধের পর রাজতন্ত্র অবসান হয় নেপালে৷ তারপর থেকে গত নয় বছরে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে রদবদল হয়েছে ১০ বার। ধর্মনিরপেক্ষ নতুন সংবিধানের আওতায় দেশবাসীর প্রধান দাবি সরকারের স্থিতিশীলতা।
জাতীয় নির্বাচনে দুই বাম দলের নেতৃত্বাধীন জোটই বিজয়ী হবে বলে অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করছেন। প্রশ্ন উঠছে, নেপাল সরকার কি চিনের দিকে ঝুঁকবে নাকি ভারতের পক্ষ নেবে?
রবিবার শীতে মুড়ে থাকা নেপালি জাতীয় সংসদের ভোট উত্তাপে নিজেকে উষ্ণ করে তুলছে৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, কিছু বিক্ষিপ্ত বোমাবাজি হলেও মোটের উপর শান্তিতেই চলছে নির্বাচন৷ নেপালি দৈনিক হিমালয়ান টাইমসের খবর, কাঠমাণ্ডু সহ দেশের সর্বত্র চলছে ভোটদান৷ দেশের ভোটার সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। প্রথম দফায় রবিবার ৩২টি জেলায় এবং দ্বিতীয় দফায় আগামী ৭ ডিসেম্বর ৪৫টি জেলায় ভোট হবে।
কেন্দ্রীয় আইনসভায় তথা পার্লামেন্টে মোট আসন রয়েছে ২৭৫টি। মূল লড়াই নেপালি কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গী বনাম সিপিএন ইউএমএল ও সিপিএন মাওয়েস্ট (সেন্টার) দলের মধ্যে৷ তবে লড়াইয়ে আছে তরাই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দল মাধেশি জনাধিকার ফোরাম৷
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**