এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) স্বাধীনতা হারানো একটি সাক্ষী-গোপাল প্রতিষ্ঠান বলেই মনে করে ভোক্তা অধিকার সমিতি (ক্যাব)। এবার যেভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আদেশ হয়েছে তাতে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে বলে মত তাদের।
তারা অভিযোগ করেন, সরকারের ইচ্ছা অনুসারে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। গণশুনানী ছিল, শুধুই প্রহসন।
নিয়ম অনুযায়ী গ্যাস বা বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের জন্য গণশুনানীতে উপস্থাপিত যুক্তি তর্কের উপর ভিত্তি করেই রায় দেবে বিইআরসি। তবে গণশুনানীতে দাম বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট যুক্তি তুলে ধরতে পারেনি বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। উল্টো দাম কমানোর পক্ষে, ক্যাবের উপস্থাপন ছিল বেশ জোরালো।
আর গণশুনানীতে যুক্তি-তর্কের কোন প্রতিফল বিআরসির রায়ে নেই বলে অভিযোগ ভোক্তা প্রতিনিধিদের। তাদের অভিযোগ অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার দায় চাপানো হচ্ছে জনগণের উপর।
তবে সরকারের দাবি, দাম বাড়ানোয় তাদের কোন হাত নেই। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে, এ সিদ্ধান্ত বিইআরসি’ই নিয়েছে।
সামনে নির্বাচন থাকায়, আগামী ১ বছরে বিদ্যুতের দাম আর না বাড়ানোরও ইঙ্গিত দিয়েছেন সরকারের নীতি নির্ধারকরা।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**