ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্ত উপাসনা ও যাজকদের অভিষেক অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। এতে বাংলাদেশের প্রায় ৮০ হাজার রোমান ক্যাথলিক যোগ দেন। এতে পোপ বাংলাদেশের মানুষ এবং বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় প্রর্থনা করেন। এ অনুষ্ঠানে তিনি ১৬ জন ডিকনকে যাজক হিসেবে অভিষিক্ত করেন।
সেইসঙ্গে প্রার্থনার মাধ্যমে তাদেরকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। তিন দশক পর এ প্রথম কোনো পোপ বাংলাদেশ সফরে এলেন। এর আগে ১৯৮৬ সালে এদেশে এসেছিলেন পোপ দ্বিতীয় জন পল।
শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পোপ ফ্রান্সিস পৌঁছানোর পরপরই শুরু হয় উপাসনা অনুষ্ঠান। পরে মঞ্চে ওঠেন পোপ। এসময় বিভিন্ন খ্রিস্টীয় আচারে চলতে থাকে অনুষ্ঠান।
মুক্ত উপাসনায় অংশ নেন হাজার হাজার খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরাও প্রার্থনাসভায় যোগ দিতে আসেন। পোপ ফ্রান্সিস এসময় ১৬ জন ডিকনকে ধর্মযাজক হিসেবে অভিষিক্ত করেন।
এ সময় সংক্ষিপ্ত এক বক্তৃতায় সারা বিশ্বের জন্য শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করেন পোপ। স্প্যানিশ ভাষায় দেওয়া তার বক্তৃতা বাংলায় অনুবাদ করে শোনানো হয়।
অভিষিক্ত যাজকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ঈশ্বরের জন্য আত্মত্যাগ করুন! তিনি প্রার্থনা ও বিশ্বাসের মাধ্যমে নব অভিষিক্ত যাজকদের সকলকে সহযোগিতা করার আহবান জানান। সব শেষে দূর দূরান্ত থেকে কষ্ট করে প্রার্থনা সভায় আসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান পোপ।
এদিকে, বিকেলে ভ্যাটিকান দূতাবাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। পরে কাকরাইলের আর্চবিশপ হাউজে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল পোপের সঙ্গে দেখা করার কথা।
এরপর রমনায় প্রবীণ যাজক ভবনে বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মীয় প্রধান বিশপদের সঙ্গে এবং সন্ধ্যায় অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
সফরের শেষ দিন শনিবার সকালে তেজগাওয়ে মাদার টেরিজা হাউস পরিদর্শনে যাবেন পোপ। এরপর তেজগাও হলি রোজারিও চার্চে খ্রিস্টান যাজক, ধর্মগুরু ও ধর্মীও নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে চার্চের কবরস্থান পরিদর্শন করবেন।
পরে দুপুরে নটরডেম কলেজে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে বিকেল ৫টায় রোমের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন পোপ।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**