আগাম নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগাম নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত আছে। নির্বাচন যদি আগামীকালও হয় সেটার জন্যও বিএনপির প্রস্তুত। তবে, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে তার পদ ছাড়তে হবে।
আসন্ন উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এখনো দলীয়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে আমরা প্রতিটি স্থানীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি এজন্য যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় না তা পর্যবেক্ষণ করতে। ইতিমধ্যে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। তাই যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি তাহলে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবো।’
এ সময় মির্জা ফখরুল ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘কয়েক বছরে একটি রাজনৈতিক দল (আওয়ামী লীগ) যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মালিক বলে দাবি করেন তাদের হাতে দেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক স্তম্ভগুলো একে একে ধ্বংস হচ্ছে। তারা নব সংস্করণে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তীব্রবেগে এগিয়ে যাচ্ছে।’
সম্প্রতি গঠিত রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা নতুন রাজনৈতিক জোটকে অবশ্যই স্বাগতম জানাই। আশা করছি সেই জোট গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। কারণ আমরা বার বার বলে আসছি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ঘটাতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে গড়ে তুলতে হবেই।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে স্বৈরাচারের পতন হয়নি বরং স্বৈরাচার আরও নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু,সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দি ন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, আনিন্দ ইসলাম অমিত, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক, মৎসজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদী, তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু প্রমুখ।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**