নিউইয়র্কে শনিবার সকালে মৌসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে। রবিবার সকাল পর্যন্ত এই তুষারপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা শীতকালীন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, নিউইয়র্ক সিটি, ওয়েস্টচেষ্টার কাউন্টি ও নিউ জার্সির উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কানেকটিকাটে মোট চার থেকে ছয় ইঞ্চি তুষারপাত হতে পারে। খবর সিনহুয়া’র।
এলাকাগুলোর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিচ্ছিল রাস্তায় সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া এ সময়ে রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রী ফারেনহাইট থেকে আরো কমে নেমেছে হিমাঙ্কের নীচে ৬ ডিগ্রী ফারেনহাইটে।
এরইমধ্যে তুষারপাতের কারণে নিউইয়র্কসহ রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে তুষার ঝড়ের জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে, হঠাৎ করেই আবহাওয়ার এমন আক্রোশে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী বাঙালিরা।
তুষারের মোড়কে ঢেকে গেছে পুরো নিউইয়র্ক। সূর্য জাগার আগেই শনিবার ভোর রাত থেকে তুষারপাত শুরু হয়। রাতের আকাশও থাকে তুষারের দখলে। বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র তুষারপাতে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
ভোগান্তির কবলে পড়ছেন প্রবাসী বাঙালিরা। কঠিন কর্মজীবনেও যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তুষারপাতের পাশাপাশি তাপমাত্রার দ্রুত পতনে কেবল মানুষ নয়, দিশেহারা প্রকৃতির- সুন্দর -পাখিরাও।
তীব্র তুষারপাতের কারণে ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি তুষারে ঢাকা পড়েছে নিউইয়র্কের রাস্তা-ঘাট ও আশ পাশের এলাকা। নিউইয়র্ক সিটিতে মঙ্গলবার অবধি তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৫ ডিগ্রি নিচে থাকবে বলে ধারণা আবহাওয়া দপ্তরের। রাস্তায় জমে থাকা বরফ পরিষ্কারে কাজ করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
তাপমাত্রা ও ঠাণ্ডা- এ দুইয়ের এমন আক্রোশ আগে দেখেননি বলে জানালেন নায়াগ্রার কাছাকাছি বসবাসকারী এ প্রবাসী বাংলাদেশি।
বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র তুষারপাতে ব্যবসায়েও এসেছে মন্দাভাব। তবুও বেঁচে থাকার সংগ্রামে ক্লান্তিহীন পথ চলছেন প্রবাসীরা।
নিউইয়র্কের বাঙালি-অধ্যুষিত কুইন্সে তুষার পড়েছে সাড়ে ৪ ইঞ্চি। এ যাবত সর্বোচ্চ ৬ ইঞ্চি তুষারপাত হয়েছে লং আইল্যান্ডের সাফোক কাউন্টিতে। তুষার জমে বরফ হওয়ায় চলাচলে ও ঘরের বাইরে বেরুতে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে নগর কর্তৃপক্ষ।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**