সারাদেশে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সরকারের লোকজন জড়িত বলে মন্তব্য করেছে দুদক। রোববার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে এক বৈঠকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদস্য ড. নাসির উদ্দিন এসব কথা বলেন।
এসময় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ৩৯ দফা সুপারিশ তুলে দেয় দুদক। এর আগে দুদক মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার স্তরে স্তরে দুর্নীতি বিরাজ করছে। এসব দুর্নীতি নির্মূলে দুদকের পক্ষ থেকে যে সুপারিশ করা হচ্ছে, তা বাস্তবায়ন করা গেলে শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি নির্মূল সম্ভব।
দুদক কমিশনার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া পরামর্শে বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডির কার্যক্রমসহ প্রতিটি সাধারণ কাজ অনলাইনভিত্তিক করার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস কীভাবে ঠেকানো যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব সার্কুলার দিয়েই সারাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক অনুষ্ঠিত দুদক ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষাখাতে দুর্নীতির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ শিক্ষাখাতের দুর্নীতি নির্মূলে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুদকের এসব সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দুর্নীতি নির্মূলে কাজে দেবে’।
এসময় মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘বুয়েটের একটিমাত্র কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। আর আমাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ হাজার কেন্দ্রে। তাই কতিপয় অসাধু শিক্ষকের সহযোগিতায় কিছু কিছু কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। তবে এসব কেন্দ্রেও যাতে প্রশ্ন ফাঁস না হয় সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**