রোহিঙ্গা সংকট সমাধানসহ দুদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পারস্পারিক স্বার্থে কাজ করবে বাংলাদেশ-তুরস্ক। এ বিষয়ে দুদেশ একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় তুরস্ক পাশে থাকবে বলে আশা করছি।
মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়ালদিরিমের উপস্থিতিতে দুই দেশের দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিনে বিকাল ৩টা ৫মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল কক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট, দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে এবং পারস্পারিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন দুই নেতা। বাণিজ্য বিনিয়োগ প্রতিরক্ষা শিক্ষা পর্যটন যোগাযোগসহ প্রধান প্রধান খাতে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন এবং পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে সমঝোতা স্মারকে।
পরে যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পারস্পারিক স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
আর ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা ও বাংলাদেশের পাশে থাকতে তুরস্কের প্রতিশ্রুতির কথা জানালেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী। এরপর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। সফরের শেষ দিনে বুধবার সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজার যাবেন বিনালি ইলদিরিম।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**