মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আত্মত্যাগে নবীন নৌ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার চট্টগ্রামে নেভাল একাডমিতে নৌবাহিনীর বার্ষিক রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে তোমরা এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্বে আত্মনিয়োগ করবে। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে সর্বদা ঊর্ধ্বতনদের প্রতি আনুগত্য ও অধঃস্তনদের সহমর্মিতা প্রদর্শন করবে।
আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমায় রয়েছে মৎস্য, খনিজ তেল ও অন্যান্য খনিজ পদার্থসহ মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় অর্থনীতিতে এই সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কার্যপরিধি এখন অনেক বেড়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন ও যুযোপযোগী করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুসরণ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, গড়ে তোলা হয়েছে হেলিকপ্টার ও টহল বিমান সমৃদ্ধ নেভাল এভিয়েশন এবং বিশেষায়িত ফোর্স-সোয়াডস বলে জানান তিনি।
পটুয়াখালীতে এভিয়েশন সুবিধা সম্বলিত নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটি, ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নৌঘাঁটি এবং কুতুবদিয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দ্বীপ চ্যানেলে জাহাজ বার্থিং সুবিধা সম্বলিত ফ্লিট সদরদপ্তর নির্মাণ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে সমুদ্র এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় খুলনা শিপইয়ার্ড এবং নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে দেশীয় প্রযুক্তিতে যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের প্রসঙ্গে প্রধান মন্ত্রী বলেন, নিজেরা জাহাজ তৈরি করব এবং দরকার হলে রপ্তানিও করব।
এছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে করা চুক্তির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের দ্রুত দেশে ফেরাতে কাজ চলছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম নৌ ঘাঁটিতে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাউদ্দিন আহমেদ এবং চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আবু আশরাফ তাকে স্বাগত জানান।
মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**