নবীন সেনা কর্মকর্তাদের জনগণের সুখ-দুঃখের সাথী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ওপর জোর দেন তিনি।
বুধবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে বিএমএ লংকোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
চট্টগ্রামে ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে বুধবার ৭৫তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশন প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় রাষ্ট্রপতি কুঁচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে সালাম গ্রহণ করেন তিনি। এবার সব মিলিয়ে কমিশন পেয়েছেন ৩৫০ জন ক্যাডেট।
সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিজেদের নিয়োজিত রাখতে কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, জাতির দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনী আগের চেয়ে অনেক বেশি চৌকস, দক্ষ এবং উন্নত— দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে এ বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর নবীন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উপযোগী একটি শক্তিশালী ও প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী গড়ে তোলার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেন। বিভিন্ন সেনানিবাসের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি একটি বিশ্বমানের মিলিটারি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন তিনি। ’৭৪ সালে প্রাথমিকভাবে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির উদ্বোধনও হয়।
১৯৭৫’র ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধু নবীন সামরিক অফিসারদের পেশাগতভাবে দক্ষ, নৈতিক গুণাবলীসম্পন্ন এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘জাতির পিতার সেই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রতিরক্ষা নীতি অনুসারে আমরা ‘ফোর্সেস গোল, ২০৩০’ প্রণয়ন করেছি। গত ৯ বছরে আমরা সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছি,’ বলেন তিনি।
এর আগে নৌবাহিনীর একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী গত ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**