মাত্র ১৪ রানের ৪ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে যে খুব বেশি দূর যেতে পারবে না তার আভাসটা প্রথমদিনই পাওয়া গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সেটাই সত্যি হল। মরনে মরকেলের বোলিং ঝড়ে ৬৮ রানে অলআউট হয়ে লজ্জায় পড়েছে জিম্বাবুয়ে দল।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩০.১ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে সফরকারীরা। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের প্রথম দিনে দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলায় কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছিল জিম্বাবুয়ের জন্য। আগের দিন ৩ উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার ধসিয়ে দেয়া মরকেল আরও দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম ৫ উইকেটের দেখা। তবে সবশেষ পাঁচ বছরে প্রথম ৫ উইকেট পেলেন তিনি।
মরকেলের সঙ্গে কাগিসো রাবাদা (১২ রানে ২ উইকেট) ও আন্দিলে ফিলোকোয়ও (১২ রানে ২ উইকেট) যোগ দিলে মাত্র ৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলোঅন থেকে ৯২ রানে দূরে থামে তারা।
প্রোটিয়া বোলারদের তোপে কেবল কাইল জারভিস (২৩) ও রায়ান বার্ল (১৬) পেরেছেন রান দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে।
চার দিনের দিবা-রাত্রির এই টেস্টে বিধ্বস্ত জিম্বাবুয়ের এটি পঞ্চম সর্বনিম্ন স্কোর। সর্বনিম্ন ৫১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জারও আছে তাদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১২০ রানে জয়ী।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৩০৯/৯ডি (৭৮.৩ ওভার)
(ডেন এলগার ৩১, এইডেন মার্করাম ১২৫, হাশিম আমলা ৫, এবি ডি ভিলিয়ার্স ৫৩, টেম্বা বাভুমা ৪৪, কুইন্টন ডি কক ২৪,ভারনন ফিল্যান্ডার ১০, আন্দিল ফেহলাকওয়াইও ৪*, কাগিসো রাবাদা ১, কেশভ মহারাজ ৫; কাইল জার্ভিস ৩/৫৭, ব্লিজিং মুজারাবানি ০/৪৮, ক্রিস এমপোফু ৩/৫৮, চামু চিবাবা ০/৫১, গ্রায়েম ক্রেমার ২/৬৬, সিকান্দার রাজা ০/২৫)।
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৬৮ (৩০.১ ওভার)
(হ্যামিলটন মাসাকাদজা ০, চামু চিবাবা ৬, ক্রেইগ আরভিন ৪, ব্রেন্ডন টেইলর ০, রায়ান বার্ল ১৬, কাইল জার্ভিস ২৩, সিকান্দার রাজা ০, পিটার মুর ৯, গ্রায়েম ক্রেমার ২, ক্রিস এমপোফু ০, ব্লিজিং মুজারাবানি ৪; মরনি মরকেল ৫/২১, ভারনন ফিল্যান্ডার ১/২১, কাগিসো রাবাদা ২/১২, আন্দিল ফেহলাকওয়াইও ২/১২)।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ১২১ (f/০) (৪২.৩ ওভার)
(চামু চিবাবা ১৫, হ্যামিলটন মাসাকাদজা ১৩, ক্রেইগ আরভিন ২৩, ব্রেন্ডন টেইলর ১৬, রায়ান বার্ল ০, সিকান্দার রাজা ৫, পিটার মুর ১, গ্রায়েম ক্রেমার ১৮*, কাইল জার্ভিস ৫, ক্রিস এমপোফু ০, ব্লিজিং মুজারাবানি ১০; মরনি মরকেল ০/১২, ভারনন ফিল্যান্ডার ১/১০, কেশভ মহারাজ ৫/৫৯, কাগিসো রাবাদা ১/১২, আন্দিল ফেহলাকওয়াইও ৩/১৩)।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**