পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের ভীতি কমিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার গণভবনে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ি ও উপজাতিদের মধ্যে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যের বই বিতরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুরা, আমার সোনার ছেলেমেয়েরাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আজকের শিশুদের মধ্যে থেকেই আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হবে।
তিনি বলেন, একটি সুশিক্ষিত জাতি হিসেবে বাঙালি জাতি বিশ্বে মর্য়াদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবে। জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরত্ব দিয়েছিলেন। কারণ শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নত জাতি হতে পারে না। তাছাড়া জাতির পিতার ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণেও শিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবিধানে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন। মেয়েদের শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্য়ন্ত অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে স্বাক্ষরতার হার শতকরা ৭২ ভাগ হয়েছে। স্কুলে ঝরে পড়ার হার কমেছে।
এছাড়াও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রযুক্তি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি কমেছে। এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষায় পাশের হার ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ বছর ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এর আগে, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে এই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, নতুন বছরে ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৮৯৫ জন শিক্ষার্থীকে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি পাঠ্যবই দেয়া হবে। এছাড়া, ৯৬৩ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে ৮ হাজার ৪০৫টি বই। এরই মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**