দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মাথায় পদত্যাগ করলেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিউ। আজ বুধবার তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে থিন কিউ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
২০১৫ সালের নভেম্বরের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে। অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ক্ষমতায় আসে। তবে সেনাবাহিনীর তৈরি সংবিধানে বিধিনিষেধ থাকায় নিজে প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি সু চি।
তাই সু চির ডান হাত হিসেবে পরিচিত থিন কিউ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান। যিনি দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় সামরিক শাসনের পর মিয়ানমারের বেসামরিক প্রেসিডেন্ট হন। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মাথায় পদত্যাগ করলেন থিন কিউ। যদিও পদত্যাগের কারণ জানা যায়নি। অবশ্য প্রেসিডেন্টের ফেসবুক পাতায় বলা হয়েছে তিনি বিশ্রাম নিতে চান। ৭১ বছর বয়সী এই নেতা বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।
এদিকে সাত দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হওয়া না পর্যন্ত দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবেক জেনারেল মিন্ট সোয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকবেন।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**