আল্লাহ তাআলা এই বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করে একটা নিয়মের অধীন করেছেন। কিছু জিনিস আপনার হয়ে কাজ করে, আর কিছু জিনিসকে ভোগ করতে হলে নিজে কাজ করে অর্জন করে নিতে হয়। যেমন- সূর্যের আলো, বায়ুমণ্ডল, বৃষ্টি এসব আপনি বিনাখরচে পেয়ে যান। কিন্তু কৃষিকাজ করে ফসল ফলানো, খনি থেকে খনিজ আহরণের জন্য পরিশ্রম করতে হয়। এগুলো হলো মানবজাতির জন্য দেওয়া নিয়ম।
তেমনি জ্বিন ও তাদের ব্যবহার্য জিনিসের জন্যও তাদের সত্তার প্রকৃতি অনুযায়ী নিয়ম নির্ধারিত আছে। তারা দেয়াল ভেদ করে যেতে পারে, দেহাকৃতি পরিবর্তন করতে পারে। ফেরেশতাদের জন্যও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। আল্লাহর আদেশে তারা আসমান জমিনের মাঝে চলাফেরা করেন, বিভিন্ন রূপধারণ করতে পারেন।
আর যাদু, অবশ্যই এটি শয়তানী কাজ। পশু উৎসর্গ, তন্ত্র-মন্ত্র, সালাত পরিত্যাগ, নাপাক বা অপবিত্র জিনিস ভক্ষণ ইত্যাদি কাজকর্মের মাধ্যমে যাদুকর জ্বিন-শয়তানদের সাহায্য নিয়ে থাকে। ফলে যাদুকরের ইচ্ছানুযায়ী তারা কাউকে আছর করে, কাউকে ক্ষতি করে, কারো শরীরের সঙ্গে মিশে যায়, কাউকে মেরে ফেলে। স্বামীকে তার স্ত্রী থেকে পৃথক করে দেয়। স্ত্রীকে স্বামী থেকে আলাদা করে দেয়।
এসব বিবেচনায় যাদুকর মুশরিক ও কাফের। শরীয়তে তাকে হত্যা করার নির্দেশ এসেছে। আর এ নির্দেশ বহু সাহাবায়ে কেরাম যেমন ওমর (রা.) তার মেয়ে হাফসা (রা.) ও জুনদব (রা.) প্রমুখ থেকে প্রমাণিত।
তারা বলেন- সঙ্গে সঙ্গে আমরা সব মুসলিমকে উপদেশ দিচ্ছি, তারা যেন যাদু থেকে বাঁচার জন্য বেশি করে আল্লাহ তাআলার জিকির করেন, কুরআন তেলাওয়াত করেন, সকাল-সন্ধ্যার যেসকল জিকির ও দোয়া আছে তা যেন আমল করেন। আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক জ্ঞাত।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**