দলের জন্য ত্যাগ নয়, যেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ১০ কোটি টাকা দিতে পারবেন তারাই বিএনপির টিকিট পাবেন। আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদের জন্য এমন দরই হাঁকানো হয়েছে বলে দলের একটি ঘনিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে তারা জানান, তারেক রহমান নিজেই লন্ডন থেকে এ বার্তা দিয়েছেন।
এর আগে গাজীপুর নির্বাচনে বর্তমান মেয়র অধ্যাপক আবদুল মান্নানের কাছে ২০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন তারেক জিয়া। কিন্তু আব্দুল মান্নান ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার বদলে হাসান উদ্দিন সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। খুলনাতেও মেয়র পদ ৫ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে তারেকের বার্তার পরপরই রাজশাহীর মেয়র এবং বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। ঘনিষ্ঠদের তিনি বলেছেন- টাকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে, সময় মতো লন্ডনে পৌঁছে যাবে। তারেকের সঙ্গে বুলবুলের টেলিফোনে আলাপের পরপরই তার সমর্থকদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যও সৃষ্টি হয়েছে।
তবে তারেক রহমানের প্রস্তাবে বুলবুল রাজি হলেও অন্য দুটি সিটি করপোরেশন বরিশাল ও সিলেটের মেয়ররা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বরিশালে আসনে হাবিব কামাল ও সিলেটে আরিফুল হক চৌধুরী দুজনই নির্বাচনের জন্য হাইকমান্ডকে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন।
ঘনিষ্ঠদের কামাল ও আরিফ বলেছেন, গত নির্বাচনের পর মেয়রে চেয়ারে ঠিক মতো বসতেই পারিনি। মামলা আর জেলে সময়ই পার হয়ে গেছে। এতো টাকা পাব কোথায়? কিন্তু তারেকের বার্তাবাহক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, টাকা ছাড়া মনোনয়ন পাওয়া যাবে না।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা অবশ্য এ বিষয়ে অস্বীকার করেছেন। তবে দলের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘শুধু মনোনয়ন নয়, কমিটি করতেও তারেক মোটা অংকের টাকা নিচ্ছেন। ফলে মনোনয়ন ও কমিটি দুটোতেই বাদ পড়ছেন দলের পরীক্ষিত ত্যাগী কর্মীরা। এ কারণেই বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে।’
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**