পাবনার বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তুহিন শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার পুলিশের একটি তদন্তকারী দল খুলনার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান, গ্রেফতারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা, খালা ও ছোট ভাইকে নিজ হাতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তুহিন। পরে পাবনার আমলী আদালত-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল মমিনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তুহিন।
তুহিন পুলিশকে জানিয়েছে, ৯ মাস আগে ভালোবেসে পরিবারের অমতে সে রুনা খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তাদের বাড়িতে থাকা খালা মরিয়ম খাতুনসহ পরিবারের লোকজন তুহিনের স্ত্রীকে মাঝে মধ্যেই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গালিগালাজ ও কটুক্তি করতো।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন ভোরে তুহিন প্রথমে তার খালাকে ঘুম থেকে ডেকে তার সাথে তুহিনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় তার মা তাসলিমা খাতুন ওরফে বুলি খাতুন ও ছোট ভাই তুষার এগিয়ে গেলে তাদেরকেও গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৪ জুলাই) ভোরে বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামে মা বুলি খাতুন, ছোট ভাই তুষার ও আপন খালা নছিমন খাতুনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে পরিবারের বড় ছেলে তুহিন হোসেনের বিরুদ্ধে।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**