রূপকথার গল্প লিখে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে যায় ক্রোয়েশিয়া। ফ্রান্সের কাছে বিশ্ব ফুটবলের সোনালী শিরোপা হাতছাড়া করে রানার-আপের তকমা নিয়ে দেশে ফিরে ক্রোয়াট ফুটবলের বীররা। রাশিয়া থেকে সঙ্গে নিয়ে যায় রানার-আপ রৌপ্য মেডেল। বিশ্বকাপে না খেলেও নিয়ম অনুযায়ী একটি রৌপ্য মেডেল পান নিকোলা কালিনিচও।
কারণ ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ দলে নাম ছিল তার। কিন্তু বিশ্বকাপের আলোচিত এই ফরওয়ার্ড নিজের ভাগের রূপার মেডেলটি নিতে করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
কালিনিচের দাবি, রূপার মেডেল নেওয়ার যোগ্য তিনি নন। কারণ ফুটবল মহাযজ্ঞের ফাইনালে উঠার পথে দেশের ঐতিহাসিক রোমাঞ্চকর অভিযাত্রায় তার তো কোনো অংশগ্রহণই নেই।
ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে পিঠের চোটের অজুহাত দেখিয়ে বদলি হিসেবে মাঠে নামতে রাজি হননি কালিনিচ। তার আগে ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলেননি। মিস করেন একটি অনুশীলন সেশন। ম্যাচ শেষে রাগ করেই কোচ দালিচ ফিটনেস তাকে পাঠিয়ে দেন দেশে।
বিশ্বকাপে এক মিনিট না খেললেও কালিনিচের জাতীয় লের সতীর্থ ও কোচিং স্টাফরা তাকে একটি রৌপ্য মেডেল ওেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পুরস্কারটি গ্রহণ করে না কালিনিচ শুধু জানিয়ে দেন, ‘মেডেলের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমি তো রাশিয়ায় খেলিইনি।’
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**