ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন ৮ উইকেটে ৩১৫ রান করেছে বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারের ধস শেষ মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামকে ক্রিজে উপযুক্ত সঙ্গ দিয়ে সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেছেন স্পিনার হিসেবে অভিষেক হওয়া নাঈম হাসান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইনজুরি থেকে দীর্ঘদিন পর ফেরা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে অভিষেক হয় নাঈম হাসানের। ৯৩তম বাংলাদেশি টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে এই ম্যাচে অভিষেক হয় নাঈম হাসানের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন খালেদ আহমেদ, আরিফুল হক এবং লিটন দাস। তাদের জায়গায় এসেছেন নাঈম হাসান, সৌম্য সরকার এবং সাকিব আল হাসান।
ব্যাটিংয়ে নেমেই ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে কেমার রোচের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন দারুণ ফর্মে দলে ফেরা সৌম্য সরকার। দলের রান ১ হতেই বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। লাঞ্চ বিরতির তিন-চার মিনিট আগে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে বিদায় নেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। ওয়ারিকানের বলে শর্ট লেগে থাকা অ্যামব্রিসের তালুবন্দি হন তিনি। তার আগে ৮৭ বলে পাঁচটি বাউন্ডারি হাঁকান ইমরুল। দলীয় ১০৫ রানের মাথায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারায়, এরপরই লাঞ্চ বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয় সেশনের এক ঘণ্টা বেশ ভালোভাবেই পার করেন মুমিনুল-মিঠুন জুটি। দুজনে মিলে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। পানি পানের বিরতির পর দেবেন্দ্র বিশুর বল অযথাই তুলে মারতে গিয়ে আউট হন মিঠুন। তার আগে ৫০ বলে ২০ রান করেন বাজে শটে আউট হওয়া মিঠুন। দলীয় ১৫৩ রানের মাথায় বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায়।
মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় সেশনটা দারুণ কেটেছে বাংলাদেশের। এই সেশনে ৩১ ওভার ৫ বলে ১ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১১১ রান যোগ করেছে স্বাগতিকরা। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২১৬ রান। কিন্তু চা বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক। পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের অফ স্টাম্পের বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৬৭ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় ১২০ রান করেন মুমিনুল।
মুমিনুলের পর সাজঘরের পথে হাঁটেন মুশফিকুর রহিম। ৩ বলে ১টি বাউন্ডারিতে ৪ রান নিয়ে গ্যাব্রিয়েলের বলে এলবির শিকার হয়ে ফেরেন বাংলাদেশি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এরপর দলীয় ২৩০ রানে গ্যাব্রিয়েলের বলেই বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ৩ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। দলের স্কোরকার্ডে ৫ রান যোগ হতেই দলীয় ২৩৫ রানে সেই গ্যাব্রিয়েলের পেসেই পরাস্ত হলেন সাকিব আল হাসান। এরপর অভিষিক্ত নাঈম হাসানকে সঙ্গী করে এগুতে থাকলেও দলীয় ২৫৯ ব্যক্তিগত ২২ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনশেষে উইকেটে অপরাজিত আছেন নাঈম হাসান (২৪) এবং তাইজুল ইসলাম (৩২)।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**