এক বছরের ব্যবধানে মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখেন নেইমার। ২০১৭ ফিফা দ্য বেস্ট ও ব্যালন ডি’অর পুরস্কারে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল পেছনে থেকে তৃতীয় হন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। কিন্তু গতবার ফিফা বর্ষসেরার ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেই জায়গা হয়নি নেইমারের।
আর বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের আরেক মর্যাদাপূর্ণ খেতাব ব্যালন ডি’অরে হন ১২তম। নেইমারের হাতে এখনো ব্যালন ডি’অর না ওঠাকে কেলেঙ্কারি হিসেবে দেখেন ইতালির বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। নেইমারের ক্লাব সতীর্থ হিসেবে চলতি মৌমুমেই ১৭ বছরের জুভেন্টাস অধ্যায়ের ইতি টেনে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) পাড়ি জমান চল্লিশ বছর বয়সী বুফন।
তিনি বলেন, ‘আমি নেইমারকে বলি যে তোমার হাতে ব্যালন ডি’অর না ওঠা কেলেঙ্কারির মতো ব্যাপার। যাতে করে সে আরো বেশি রাগান্বিত হয়ে ওঠে।’ ভবিষ্যতে ২৬ বছর বয়সী নেইমারের হাতে ব্যালন ডি’অর ট্রফি উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বদেশি আইকন রোনালদো নাজারিও, রোনালদিনহোসহ আরো অনেক বড় তারকা।
সম্প্রতি নেইমারের সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ স্প্যানিয়ার্ড কিংবদন্তি জাভি হার্নান্দেজ বলেন, ‘নেইমার অবিশ্বাস্য ফুটবলার। মেসি ও রোনালদোর রাজত্ব শেষ হলে নেইমারই হবে পরবর্তী ব্যালন ডি’অর বিজয়ী।’ বুফনের বিদায়ে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে জুভেন্টাসে আগমন ঘটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ সুপারস্টারের সঙ্গে খেলতে না পেরে আফসোসই হচ্ছে বুফনের।
তিনি বলেন, ‘আমি অনেক চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে খেলেছি এবং সবার সঙ্গে খেলতে চাই। এমনকি রোনালদোর সঙ্গেও। কিন্তু পিএসজিতেও চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় রয়েছে। নেইমার ও এমবাপ্পে ওই মানেরই খেলোয়াড়। অসীম প্রতিভাবান এই দু’জন আগামী ১০ বছর ফুটবল বিশ্ব শাসন করতে পারে।’
বয়সে নেইমারের চেয়ে প্রায় ৭ বছরের ছোট ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এমবাপ্পে। গত ২০শে ডিসেম্বর ২০-এ পা রাখেন এমবাপ্পে। আর আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারি ২৭তম জন্মদিন উদযাপন করবেন নেইমার।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**