শেষটা বেশ ভালোভাবেই রাঙালো অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্কের ফর্মে ফেরার ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৩৬৬ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অজিরা। লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক।
ক্যানবেরা টেস্টে উসমান খাজার সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ১৯৬ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে পাওয়া ৩১৯ রানের লিড যোগ করে লঙ্কানদের জন্য ৫১৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় অজিরা।
প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য ছুঁতে ১০ উইকেট হাতে রেখে সফরকারীরা সময় পেয়েছিল পুরো দুই দিন। কিন্তু ম্যাচের চতুর্থদিন চা-বিরতির আগেই শেষ হয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। তাও আবার ১৪৯ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে করা ৫৩৪ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা ২১৫ রানে অলআউট হয়।
স্টার্ক দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিতে খরচ করেন ৫৪ রান। ক্যারিয়ারে এই নিয়ে দুইবার দশ উইকেট নিলেন তিনি।
জয়ের জন্য লঙ্কানদের করতে হতো ৫১৬। চতুর্থদিন ১৭/০ থেকে শুরু করে দলটি। ৫১ ওভারের ভেতর তাদের গুটিয়ে দিতে স্টার্কের পাশাপাশি ১৫ রানে তিন উইকেট নেন কামিন্স।
সকালের ১৩তম বলে দিমুথ করুনারত্নেকে (৮) ফেরান স্টার্ক। এরপর অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালকে (৪) তৃতীয় স্লিপে ধরা পড়তে বাধ্য করেন।
সতীর্থদের যাওয়া-আসার মাঝে লাহিরু থিরিমান্নেকে বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছিল। তাকে বিদায় করেন কামিন্স। নিজের বলে দারুণ এক ক্যাচ নেন অজি পেসার। ওপেনার থিরিমান্নে ৮১ বলে ৩০ করে যান।
নিরোশান ডিকভেলাও থিতু হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ব্যক্তিগত ২৭ রানে তাকে বোল্ড করেন স্টার্ক। স্টার্ক যখন কুশল পেরেরাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন, ততক্ষণে ৮৩ রানে ৫ উইকেট নেই দলটির।
উইকেট শিকারের মিছিলে যোগ দেন রিচার্ডসনও। ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে (৬) ফেরান তিনি। বিপদের মুখে শেষ লড়াই চালান চামিকা করুনারত্নে এবং কুসল মেন্ডিস। দুজনে ৪৬ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি কয়েকটি আক্রমণাত্মক শট খেলে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন।
ব্রেক-থ্রু আনেন পার্টটাইম লেগস্পিনার মার্নাস লাবুশেন। ৬৯ বলে ৪২ করা মেন্ডিসকে কাভারে ধরা পড়ান। এরপর দ্রুত কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন চামিকা (২২)। দিলরুয়ানকে পেরেরাকেও ওই কামিন্স কটবিহাইন্ড করলে স্টার্কের দশ উইকেট নেওয়া কিছুটা শঙ্কায় পড়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ‘ম্যাজিক ফিগারে’ পৌঁছান দারুণ এক ইয়র্কারে। রানের খাতা খোলার আগেই দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় করেন বিশ্ব ফার্নান্দোকে।
সংক্ষিপ্ত
স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ৫৩৪/৫ ডিক্লে. ও ১৯৬/৩ ডিক্লে.
শ্রীলঙ্কা: ২১৫ ও ১৪৯ (কুশাল মেন্ডিস ৪২, থিরিমান্নে ৩০, ডিকওয়েলা ২৭, চামিকা ২২; স্টার্ক ৫/৪৬, কামিন্স ৩/১৫, রিচার্ডসন ১/২৯, ল্যাবুশান ১/৬)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৩৬৬ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: মিচেল স্টার্ক
সিরিজ: ২-০ ব্যবধানে জয়ী অস্ট্রেলিয়া
সিরিজসেরা: প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**