আশা-নিরাশার দোলাচল নিয়ে জীবন। সুখ দু:খ থাকবেই জীবনে। সুখকে আঁকড়ে ধরলেই হবে না। দু:খের সময়গুলো মোকাবেলা করার শক্তি থাকতে হবে। তবেই জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়ে প্রকৃত সুখী হওয়া যাবে।
সুখী হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো মন্ত্র নেই। তবে সুখী জীবনের জন্য রয়েছে সহজ কিছু উপায়।
পাঠকের উদ্দেশ্যে সেই উপায়গুলো তুলে ধরা হল-
১. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন৷
২. নির্জন কোন স্থানে একাকী অন্তত ১০ মিনিট কাটান ও নিজেকে নিয়ে ভাবুন৷
৩. ঘুম থেকে উঠেই প্রকৃতির নির্মল পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। সারা দিনের করণীয় গুলো সম্পর্কে মন স্থির করুন।
৪. নির্ভরযোগ্য প্রাকৃতিক উপাদানে ঘরে তৈরি খাবার বেশি খাবেন আর প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাবেন।
৫. সবুজ চা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৬. অন্যের সমালোচনা, অতীতের স্মৃতি, বাজে চিন্তা করে আপনার মূল্যবান সময় এবং শক্তি অপচয় করবেন না। ভাল কাজে সময় ও শক্তি ব্যয় করুন।
৭. অন্যকে ঘৃণা করে সময় নষ্ট করার জন্য জীবন খুব ছোট। ক্ষমাশীলতা চর্চা করুন।
৮. সমস্যা এলেই জটিলভাবে চিন্তা করবেন না। সহজ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার চেষ্টা করুন।
৯. সব তর্কে জিততে হবে এমন নয়। অন্যের সমালোচনাও গ্রহণ করুন।
১০. আপনার অতীতের ভুলগুলো শুধরে নিন। অতীতের জন্য বর্তমানকে নষ্ট করবেন না।
১১. অন্যের জীবনের সাথে নিজের জীবন তুলনা করবেন না।
১২. অসহায় মানুষকে দান করুন। শান্তি পাবেন।
১৩. সংকোচ করে সময় নষ্ট না করে নিজ সিদ্ধান্তে চলার মানসিকতা গড়ে তুলুন।
১৪. কোনো ব্যাপারে কষ্ট পেলে খোলামেলা আলাপ করুন ও ঘনিষ্ঠদের সাথে শেয়ার করুন।
১৫. সময় ভালো হোক অার খারাপ। বদলাতে বাধ্য।
১৬. যেকোনো প্রকার নেতিবাচক চিন্তা, কথা, আলোচনা থেকে দূরে থাকুন। ইতিবাচকতাকে গুরুত্ব দিন।
১৭. প্রতি রাত ঘুমানোর আগে আপনার জীবনের জন্য সৃষ্টিকর্তা ও বাবা মাকে মনে মনে ধন্যবাদ দিন।
১৮. সময় পেলেই বই পড়ুন। ভালো গান শুনুন। সময়কে উপভোগ করুন।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**