জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন পেশায় এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ আজ দৃশ্যমান। বাংলাদেশের নারীরা আপন মহিমায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ ট্রাস্ট আয়োজিত নারী সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ‘নারী জাগরণের পথিকৃত যারা তাদের পদাংক অনুসরণ করেই শত বাধা অতিক্রম করে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ নারী উন্নয়নের রোল মডেল। আলোকিত নারী তৈরিতে প্রধানমন্ত্রীর অবদান মাইল ফলক হয়ে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সাহসীকতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারীরা। বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নারী জাগরণে এবং আলোকিত নারী তৈরিতে কাজ করে গেছেন। ক্ষণজন্মা নারী বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ স্বল্প সময়ে নারীদের সংগঠিত করে নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ ট্রাস্ট নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মহিয়সী নারীদের সম্মাননা প্রদান করায় বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে নারী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নারীদের অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নারী সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রথম নারী সংসদ উপনেতা ও নারী বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, প্রথম নারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, প্রথম নারী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রথম নারী মেজর জেনারেল সুসানে গীতিকে সম্মাননা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান।
বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজা খানম, বাংলা রেকর্ডসের চেয়ারম্যান ও সাবেক আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, অধ্যাপক খন্দকার নজরুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**