নিজে করলেন জোড়া গোল; সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো দুই গোল। লিওনেল মেসির এমন নৈপুণ্যে লিওঁকে উড়িয়ে টানা দ্বাদশবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে বার্সেলোনা।
কাম্প নউয়ে বুধবার রাতে প্রতিযোগিতাটির শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ফরাসি ক্লাবটিতে ৫-১ গোলে হারায় বার্সেলোনা। দুই লেগ মিলিয়ে এই ব্যবধানেই এগিয়ে থেকে পরের রাউন্ডে উঠল এরনেস্তো ভালভেরদের দল। প্রথম লেগে লিওঁর মাঠ থেকে গোলশূন্য ড্র নিয়ে ফিরেছিল তারা।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে যায় বার্সেলোনা। সপ্তদশ মিনিটে স্পট কিকে মেসির গোলে এগিয়ে যায় তারা। ডি-বক্সে লুইস সুয়ারেস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পানেনকা শটে গোলটি বল জালে জড়ান মেসি।
৩১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো। ডি-বক্সে লুইস সুয়ারেসের ক্রস থেকে হালকা টোকায় জাল খোঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
ম্যাচের শেষ দিকে আট মিনিটের ব্যবধানে বাকি তিনটি গোল পায় বার্সেলোনা। ৭৮তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে নিজের দ্বিতীয় ও দলকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন মেসি। সের্হিও বুসকেতসের পাস পেয়ে ডি-বক্সে দুজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে নিচু শটে জালে বড় জড়ান আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড।
৮১তম মিনিটে পিকেকে গোল করান মেসি। পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলারের সহায়তায় দলকে পঞ্চম গোলটি এনে দেন বদলি নামা ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমানে দেম্বেলে।
এই নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে রেকর্ড টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো বার্সেলোনা। একই সময়ে দিনের অপর ম্যাচে বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিভারপুল।
কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করা অন্য দলগুলো হলো- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, টটেনহ্যাম হটস্পার, আয়াক্স, পোর্তো ও ইউভেন্তুস।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**