গ্রীষ্মকালীন সময়ে বাজারজুড়ে থাকে শুধু ফল আর ফল। এ সময়কার ফলগুলো হল তরমুজ, লিচু, আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, বেল, আখ, পানিফল, নাশপাতি ইত্যাদি। কলা, পেঁপে সারা বছরই পাওয়া যায়। গরমে প্রচুর ফল খান এবং দেহে সঞ্চয় করুন ভিটামিন ও খাদ্যশক্তি।
তরমুজ: গ্রীষ্মের শুরু থেকেই বাজারে এবং রাস্তার পাশে অনেক জায়গায় স্তূপ আকারে সাজানো থাকে তরমুজ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তরমুজকে বলে ফলের রাজা। তরমুজে রয়েছে ত্বকে আর্দ্রতা জোগানোর অসীম ক্ষমতা। তরমুজ ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল। এতে রয়েছে ৯৭ শতাংশ জলীয় অংশ সে জন্য গরমে তরমুজ খাওয়া ভালো, কারণ ক্রমাগত ঘাম হওয়ার জন্য যে জলীয় অংশ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, এটা তা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজমে সাহায্য করে ও কিডনির কাজকর্ম ঠিক রাখে।
কাঁঠাল: আরেকটি পুষ্টিকর ফল হল কাঁঠাল। বাজারে প্রথমে কাঁচা কাঁঠাল ও পরে পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে উত্তম সবজি। পাকা কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। গ্রীষ্মকালীন সময়ে গ্রাম-বাংলার মানুষ ভাতের পরিপূরক হিসেবে পাকা কাঁঠাল খেয়ে থাকে, কাঁঠালের বিচিও খুব পুষ্টিকর। ফাইবার বা আঁশ কাঁঠালে বেশি থাকার কারণে কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে লিচু আগে বাজারে ওঠে এবং এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। খাদ্যমানের দিক থেকে লিচু একটি উৎকৃষ্ট ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। রূপে-গুণে লিচু সবার প্রিয় ফল।
আম: পাকা আম হল ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ফল। ১০০ গ্রাম আমে ১০০০-১৫০০ আইইউ ভিটামিন ‘এ’ থাকে, যার অভাবে অন্ধত্বসহ চোখের নানা রোগ, চুলপড়া, খসখসে চামড়া, হজমের সমস্যা ইত্যাদি দেখা যায়। এছাড়া আমে ভিটামিন বি ও সি, খনিজ লবণ, ক্যালসিয়াম ও প্রচুর খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়।
জাম: জাম শুধু পাওয়া যায় গরমকালেই। নানা রকম খনিজ পদার্থের মধ্যে জামে আয়রন থাকে সবচেয়ে বেশি। সে জন্য বলা হয় জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। এছাড়া সর্দি-কাশি, হজমের গণ্ডগোল ও বাতের অসুখে জাম উপকারী। এ সময়কার আরেকটি সুস্বাদু ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল আনারস। সর্দি-কাশিতে আনারস খেলে শ্লেষ্মা ও মিউকাসকে তরল করে। ফলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**