মাশরাফি মর্তুজা, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনদের বোলিংয়ে লক্ষ্যটা মিলেছিল নাগালের ভেতর। সেই লক্ষ্যে নেমে তামিম ইকবাল আর সৌম্য সরকার মিলে এনে দিলেন দুর্দান্ত শুরু। দুই ওপেনারের ১৪৪ রানের ভিতের পর সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম কাজটা সেরেছেন সহজে। ২৬২ রান তাড়ায় ৫ ওভার হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ক্যারিবীয়রা। মাশরাফি-সাইফ-ফিজের বোলিং তোপে ২৬১ রানে থামে উইন্ডিজের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত খেলে টাইগার ওপেনারা। তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের ১৪৪ রানের ওপেনিং জুটিতে জয়ের পথ মসৃণ হয়ে যায়। শেষ দিবে সাকিব-মুশফিকের জুটিতে সহজ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ দল।
সাকিব আল হাসান ৬১ বলে ৩ চার ও ৬ ছয়ে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। সঙ্গী হিসেবে মুশফিক ছিলেন ৩২ রানে অপরাজিত। এর আগে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক ভাবে শুরু করেন দুই টাইগার ওপেনার। কিছুটা ধীর গতিতে তামিম ব্যাট চালালেও প্রথম থেকে মারমুখি ছিলেন সৌম্য। ৭৩ রানে সৌম্য সাজ ঘরে ফিরলে মুশফিকের সঙ্গে কিছু সময় জুটি বাধেন তামিম। কিন্তু ২০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস হয় তার।
গ্যাব্রিয়েলের বলে হোল্ডারের তালু বন্দি হওয়ার আগে ১১৬ বল খেলেন তামিম। ৭ চারে সাজানো ইনিংসটিতে করেন ৮০ রান। এর আগে ৭৩ রানে থামে সৌম্যের ইনিংস।
ইনিংসের ২৬ ওভারে চেইসের শেষ বলে লেগ অনে ওভার বাউন্ডারি হাঁকান সৌম্য। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে গিয়ে ব্রাভোর হাতে ধরা পড়েন তিনি। টাইগারদের ওপেনিং জুটিতে আসে ১৪৪ রান। ৬৮ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রান করেন সৌম্য।
এর আগে উইন্ডিজ ওপেনার হোপের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে (১০৯) ২৬১ রানের স্কোর গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এছাড়াও চেইস ৫১, অ্যামব্রিস ৩৮ ও অ্যাশলে নার্স করেন ১৯ রান।
টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি (৩/৪৯), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (২/৪৭), সাকিব আল হাসান (১/৩৩) ও মেহেদী হাসান মিরাজের (১/৩৮) নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ উইকেট নিতে ৮৪ রান খরচ করা মুস্তাফিজুর রহমান বাদে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের সব বোলারের প্রস্তুতিটা হয়েছে দারুণ।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**