প্রথমে অস্বীকার করার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেছে, তার পানিসীমার কাছে কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজে ‘নাশকতামূলক’ হামলা হয়েছে। আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশটির পানিসীমার কাছে চারটি বাণিজ্যিক জাহাজে কে বা কারা ‘নাশকতামূলক অভিযান’ চালিয়েছে।
এসব নাশকতামূলক তৎপরতায় কেউ নিহত হয়নি বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। তবে এতে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা বা জাহাজগুলো কোন্ কোন্ দেশের সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বিবৃতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডাব্লিউএএম প্রকাশ করে।
আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরের কাছে এ হামলা হয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের তেল নিয়ে হরমুজ প্রণালি হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিদেশি জাহাজ ও তেল ট্যাংকারগুলোকে ফুজাইরা বন্দরের পাশ দিয়ে যেতে হয়।
আরব আমিরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে নাশকতামূলক তৎপরতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা এবং এসব জাহাজের কর্মীদের জীবন বিপদাপন্ন করে তোলাকে ভয়ানক কাজ হিসেবে দেখা হচ্ছে। হামলার কারণে ফুজাইরা বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়নি বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার দিনের শুরুতে লেবানন-ভিত্তিক আল মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, আল-ফুজাইরা তেল ট্যাংকার টার্মিনালের সাতটি ট্যাংকারে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। টার্মিনাল থেকে কয়েকটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে টিভি চ্যানেলটি জানায়।
তবে ফুজাইরা কর্তৃপক্ষের গণমাধ্যম বিভাগ এ খবরে সত্যতা অস্বীকার করে। এ ছাড়া, ফুজাইরা’র সিভিল ডিফেন্স বিভাগের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আলী ওবাইদ আল-তানিজি ‘এমিরাত আল-ইয়াওম’ দৈনিকটি বলেন, বন্দরে কোনো বিস্ফোরণ বা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি।
তবে আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের এ অস্বীকৃতি সত্ত্বেও প্রত্যক্ষদর্শীরা বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনা নিশ্চিত করেন এবং এমনকি তারা আগুন ধরে যাওয়া জাহাজের নাম ও তাদের হল নাম্বার প্রকাশ করে দেন। এরপরই রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফুজাইরা বন্দরে ‘নাশকতামূলক তৎপরতা’র খবর নিশ্চিত করে।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**