পাকিস্তানের ঘোর নিন্দুকরাও হয়তো ঘুণাক্ষরে ভাবেনি এমনটা। সমর্থকদের তো স্বপ্নেও ভাবার কথা নয় বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যাবে পাকিস্তান! ট্রেন্ট ব্রিজে ফিরে আসা সোনালী দিনের ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণের সামনে লজ্জার নতুন অধ্যায় খুলেছে সরফরাজ আহমেদরা।
রান তবু যে ১০০ পেরিয়েছে, তার পুরো কৃতিত্ব ওয়াহাব রিয়াজের। এই ব্যাটসম্যান ১৮ রানের ইনিংস খেলার কারণেই পাকিস্তানের স্কোর অতদূর গিয়েছে। বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জায় হয়তো ডুবতে হয়নি তাদের, তবে এই ধাক্কা কোনোভাবেই প্রত্যাশা ছিল না তাদের। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ৭৪ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ডটা অক্ষত থাকলেও এবারের ১০৫ রানে গুটিয়ে যাওয়াটা বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরের ঘটনা।
শুক্রবার টসে জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান জেসন হোল্ডার। ১০ ওভারেই বোঝা যায় তার সিদ্ধান্ত কেন সঠিক ছিল।
এই সময়ে পাকিস্তান দলীয় ৫০ রান পান করলেও চলে যায় তিন উইকেট। ৩ উইকেট থেকে ৯ উইকেট চলে যায় মাত্র ৩৮ রানে! শেষ উইকেটে যোগ হয় ২২।
কোনো ব্যাটসম্যানই ৩০’র ঘরে স্কোর নিয়ে যেতে পারেননি। ওপেনার ফখর জামান ১৬ বলে ২২ করার পর পর তিন নম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আজমও ২২ করেন। এরপর যাওয়া-আসার মিছিল।
উইন্ডিজের পাঁচ বোলার দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। হোল্ডার পাঁচ ওভার হাত ঘুরিয়ে ফেরান তিনজনকে। রান দেন ৪২। চার উইকেট নিয়েছেন ওশান টমাস। ৫.৪ ওভারে ২৭ রান খরচ করেন তিনি। দুই উইকেট নিয়েছেন রাসেল।
পাকিস্তান সেই ২০১৮ সালেরে শুরু থেকেই হেরে চলছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হারতে হয় তাদের। হোয়াইটওয়াশ হতে হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে। মাঝে এশিয়া কাপ থেকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। একটি ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে।
শেষ দশ ম্যাচের সবকটিতে হেরে বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছে পাকিস্তান। এমনকি আফগানিস্তানের কাছে প্রস্তুতি ম্যাচও হেরেছে তারা।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**