৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত আলোচিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (০১ জুলাই) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে মিজানের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
জামিন আবেদনের শুনানিতে বরখাস্ত ডিআইজি মিজানের কর্মকাণ্ডে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। এরপর আদালত তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাতে শাহবাগ থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এর আগে দুদকের দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন চেয়ে গত ৩০ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বহিস্কৃত ডিআইজি মিজানুর রহমান আবেদন জানান। তার পক্ষে আবেদনটি দাখিল করেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান খান।
এর আগে নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু এই তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এছাড়া গত ১৯ জুন আদালত এক আদেশে মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ২৪ জুন তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে আগাম জামিনের জন্য দুপুর তিনটার দিকে হাইকোর্টে হাজির হন তিনি। তবে হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে পুলিশে দেন হাইকোর্ট।
**রাজনৈতিক, ধর্মবিদ্বেষী ও খারাপ কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন।**